ব্লগার ওয়েবসাইটে বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম
ব্লগার ওয়েবসাইটে বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম জানার জন্য আপনাকে যে খুব বেশি দক্ষ হতে হবে এমনটা নয়। তবে একটা মানসম্মত আর্টিকেল লেখার জন্য অবশ্যই আপনাকে কিছু বিষয় ভাল করে স্টাডি বা রিসার্চ করতে হবে।
আমি আপনি কোনো একটি আর্টিকেল পড়ি এবং সেই আর্টিকেল পড়ে ভালো লাগলে তবেই আমরা
ভিন্ন আরেকটি আর্টিকেলে চলে যাই। কিন্তু আর্টিকেলটি ভালো না লাগলে ওয়েবসাইট
থেকে আমরা বের হয়ে যাই। চলুন আর্টিকেল কিভাবে লিখতে হয় তার ১০টি নিয়ম সম্পর্কে
আজকে আমরা জানবো।
পেজ সূচিপত্রঃ ব্লগার ওয়েবসাইটে বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম
- বাংলা আর্টিকেল কিভাবে লেখা যায়
- বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম সমূহ
- বাংলা আর্টিকেলে ফোকাস কিওয়ার্ড নির্বাচন করা
- আকর্ষণীয় আর্টিকেলের টাইটেল নির্বাচন করা
- বাংলা আর্টিকেলে ভূমিকা যুক্ত করা
- বাংলা আর্টিকেল গুলো প্যারাগ্রাফ আকারে লিখতে হবে
- বাংলা আর্টিকেলে স্ক্রিনশট সুন্দরভাবে উপস্থাপন করুন
- বাংলা আর্টিকেলে ফিচার ইমেজ ব্যবহার করা
- বাংলা আর্টিকেলে অবশ্যই কপিরাইট এড়িয়ে চলা
- আর্টিকেলের শেষে লেখকের মন্তব্য যুক্ত করার নিয়ম
- শেষ কথাঃ প্রয়োজনীয় সব তথ্য তুলে ধরা
বাংলা আর্টিকেল কিভাবে লেখা যায়
বর্তমানে বাংলা ভাষায় আর্টিকেল লেখার চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনিও
ব্লগার ওয়েবসাইটে বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম গুলো জেনে নিজের ব্লগ সাইটে সহজেই
আর্টিকেল লিখতে পারেন। সহজ করে বলতে গেলে পাঠকদের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য তুলে
ধরতে বাংলা আর্টিকেল একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে কাজ করে
চলেছে। আর্টিকেল লেখার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে পাঠকদের জ্ঞান বৃদ্ধি, তাদের
মধ্যে নতুন নতুন ধারণা প্রদান এবং একটি নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে গভীরভাবে ধারণা
দেওয়া।
আজকে আমরা আলোচনা করবো কিভাবে একটি মানসম্মত বাংলা আর্টিকেল লিখা যায়। চলুন
তাহলে আমরা ব্লগার ওয়েবসাইটের পোস্টে বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম গুলো সম্পর্কে
বিস্তারিত জেনে নিই।আর্টিকেল কি এই সম্পর্কে প্রথমেই আমাদের একটি ধারণা
থাকতে হবে। আর্টিকেল হলো এমন একটি লেখা যা নির্দিষ্ট বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য
প্রদান করে পাঠকদের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেওয়া।
তবে হ্যাঁ, অনেকেই মনে করেন যে ভালো ব্যকরণ বা ইংরেজি ভোকাবুলারি জানলেই আর্টিকেল
লেখা যায় এই ধারণা একদমই ভুল। আর্টিকেল লেখা এক ধরনের আর্ট যা সবাই লিখতে
পারেনা। তবে কিছু নিয়ম অবলম্বন করে চললে বাংলা আর্টিকেল লেখা খুবই সহজ।
আরেকটি কথা আপনাদেরকে বলে রাখি একজন ভালো আর্টিকেল রাইটার হতে হলে আপনাকে প্রচুর
পরিমাণে রিসার্চ করার মানসিকতা তৈরি করতে হবে।
বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম সমূহ
বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম সমূহ জানতে পারলে আপনার লেখা আরো রুচিসম্মত ও
আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। বাংলা আর্টিকেলের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে সহজ ভাষায় লিখে পাঠকের
মনোযোগ ধরে রাখা এবং প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী সঠিকভাবে উপস্থাপন
করা। শুরুতেই অনেকের মাথায় এই প্রশ্নটি আসবে কনটেন্ট রাইটিং কত প্রকার ও কি
কি? আমিও যখন নতুন এই সাইটে এসেছিলাম তখন আমার মনেও একই রকম প্রশ্ন
এসেছিলো।
আসলে এই সেক্টরটির পরিসর বেশ বড়সড়। সুনির্দিষ্ট করে এর প্রকারভেদ বলাটা খুবই
মুশকিল। তাই আমি এখানে নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা উল্লেখ করছি না। কন্টেন্ট
রাইটিং অনেক ধরনের হতে পারে। যেমন-
- ব্লগ রাইটিং
- কপি রাইটিং
- স্ক্রিপ্ট রাইটিং
- সোশ্যাল মিডিয়া রাইটিং
- ইমেইল রাইটিং ইত্যাদি।
এসব প্রত্যেকটির আবার অনেকগুলো প্রকারভেদ রয়েছে। সেগুলো আমাদের জানার প্রয়োজন
নেই। আজকের এই ব্লগে আমরা শুধু বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত
জানবো। বাংলা, ইংরেজি কিংবা যেকোনো ভাষায় আর্টিকেল লেখার নিয়ম প্রায় একই।
এদের মধ্যে তেমন কোনো একটা পার্থক্য দেখা যায় না। তবে আমরা যে ধাপ গুলি
সম্পর্কে জানবো তা যেকোনো ভাষার কন্টেন্ট রাইটিং লেখার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
বাংলা আর্টিকেলে ফোকাস কিওয়ার্ড নির্বাচন করা
বাংলা আর্টিকেলে ফোকাস কিওয়ার্ড নির্বাচন করার ক্ষেত্রে শুরুতেই আপনি কোন বিষয়ে
লিখবেন তা খুঁজে বের করতে হবে। এজন্য আপনাকে টপিক ও কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে
হবে। এখন সবার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে কিওয়ার্ড কি? চলুন তাহলে
কিওয়ার্ড সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। কিওয়ার্ড হচ্ছে মানুষ গুগলে কোনো কিছু
জানার উদ্দেশ্যে যা লিখে সার্চ করে তাকে কিওয়ার্ড বলে।
কোন আর্টিকেল গুগলে বাজে কোন সার্চ ইঞ্জিনিয়ার রেংক করানোর জন্য সঠিকভাবে
কিওয়ার্ড রিসার্চ করা জানতে হবে। আপনি সঠিক কিওয়ার্ড নির্বাচন করলে আপনার
আর্টিকেলটি গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনে র্যাঙ্কিং করার সুযোগ রয়েছে।
কিওয়ার্ড মূলত দুই প্রকার। যথা- শর্ট টেল কিওয়ার্ড ও লং টেল কিওয়ার্ড।
শর্ট টেল কিওয়ার্ডঃ ২টি শব্দ দ্বারা গঠিত কিওয়ার্ডকে শর্ট টেল কিওয়ার্ড
বলা হয়।
লং টেল কিওয়ার্ডঃ তিন থেকে আট শব্দ দ্বারা গঠিত কিওয়ার্কের লং টেল
কিওয়ার্ড বলা হয়।
অনেকগুলো টুল রয়েছে কিওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য। এগুলোর মধ্যে কিছু রয়েছে
ফ্রিতে এবং কিছু প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন টুলস ব্যবহার করার জন্য কিনে নিতে হয়।
এগুলোর মধ্যে কিছু ফ্রী কিওয়ার্ড রিসার্চ টুলস হলো-
- Ahrefs
- Google keyword planner
- Ubersuggest
- Keywordtool.io
ব্যক্তিগতভাবে আমি বাংলা কীওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য Ubersuggest ও
Ahrefs ব্যবহার করি। এই ২টার সমন্বয়ে ব্যবহার করে আমি বেশ ভালো ফলাফল
পেয়েছি। এছাড়াও আপনি দেখবেন গুগলে কোনো টপিক লিখে সার্চ করার পরে কিছু
প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড গুগল সাজেস্ট করে। গুগলে কোন কিছু লিখে সার্চ
দেওয়ার পর এবাউট রেজাল্ট যত কম হবে এবং কোন কিছু লিখে সার্চ করার পর
প্রথম দশটি ওয়েবসাইটের মধ্যে কিওয়ার্ড ডিফিকাল্টি কম সেসব কিওয়ার্ড বাছাই
করে নিতে পারেন।
উপরের ছবিটির লক্ষ্য করলেই আপনি দেখতে পাবেন আমি এখানে আমি গুগলে ডিজিটাল
মার্কেটিং লিখে সার্চ করেছি এবং সার্চ রেজাল্ট এর মাঝে People also search for
সেকশনে এই কিওয়ার্ডগুলো পেয়েছি। আমার মূল কিওয়ার্ড বা ফোকাস কিওয়ার্ড
হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং তার সাথে প্রাসঙ্গিক কিছু কিওয়ার্ড যেগুলো
মানুষেরা সার্চ করে। প্রতিটি কিওয়ার্ড নিয়ে আলাদা করে চার্জ ভলিউম এবং
ডিফিকাল্টি চেক করে বাছাই করতে পারেন তবে সেক্ষেত্রে লং টেল কিওয়ার্ড
নেওয়ার চেষ্টা করবেন।
আকর্ষণীয় আর্টিকেলের টাইটেল নির্বাচন করা
আকর্ষণীয় আর্টিকেলের টাইটেল নির্বাচন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলা
আর্টিকেলের জন্য ভালো এবং এসইও ফ্রেন্ডলি হেডিং বাছাই করে লিখতে হবে। এখানে
আপনার মূল কিওয়ার্ড যেন থাকে সেদিকেও আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে। একটি সঠিক ও
আকর্ষণীয় টাইটেল আপনার আর্টিকেলের প্রতি পাঠকের মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য
করবে। তাই টাইটেল এমন হতে হবে যেন তা পাঠককে ক্লিক করতে উদ্বুদ্ধ করে। তবে
আর্টিকেলের টাইটেলটি অবশ্যই হতে হবে সংক্ষিপ্ত এবং তথ্যবহুল।
টাইটেলটি দেখে যেন পাঠক সহজেই বুঝতে পারে আর্টিকেলটি কোন বিষয়ের উপর লেখা
হয়েছে।যেমন ধরেন, যদি আপনি ঘরে বসে কিভাবে উদ্যোক্তা হওয়া যায় এই বিষয়ের
উপর একটি আর্টিকেল লিখেছেন তাহলে আপনার টাইটেল হতে পারে একজন সফল উদ্যোক্তা
হওয়ার ৯টি কার্যকরী উপায়।মনে রাখবেন আপনার ফোকাস কিওয়ার্ডের চাহিদা যত বেশি
সার্চ ইঞ্জিন গুলোর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট বা আর্টিকেলের ভিজিটর সংখ্যা তত বেশি
হবে।
তাই আর্টিকেল লেখার নিয়মের মধ্যে ফোকাস কিওয়ার্ড নির্বাচন করা
গুরুত্বপূর্ণ। আর্টিকেলের টাইটেল সর্বনিম্ন ৫ থেকে সর্বোচ্চ ৮ শব্দের মধ্যে
হতে হবে। অবশ্যই কনটেন্টের টাইটেল ৬০ ক্যারেক্টারের বেশি হওয়া যাবে
না। আপনাকে চিন্তা ভাবনা করে একটি টাইটেল বা শিরোনাম নির্বাচন করতে
হবে। টাইটেল পছন্দ না হলে দশজন পাঠকের মধ্যে আয়োজন পাঠকই আর্টিকেলটি না
পড়ে অন্যত্র চলে যাবে। তাই আর্টিকেলটি যেন আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন হয় এবং
ফোকাস কিওয়ার্ড সমৃদ্ধ হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
বাংলা আর্টিকেলে ভূমিকা যুক্ত করা
বাংলা আর্টিকেলে ভূমিকা যুক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ। আর্টিকেল লেখা শুরু করার আগে ৪-৫
লাইনের একটি ভূমিকা অবশ্যই যুক্ত করতে হবে। আর্টিকেল লেখার নিয়ম মেনে ভূমিকা
লিখুন। আপনি আর্টিকেলে কি বিষয়ে আলোচনা করতে চাচ্ছেন সে বিষয়ের উপরে সংক্ষিপ্ত
একটি ভূমিকা উল্লেখ করতে হবে যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভূমিকা অংশটি ছোট
হলেও তা যেন তথ্যবহুল ও আকর্ষণীয় হয়।এতে আপনার আর্টিকেলের প্রতি পাঠক আকৃষ্ট
হবে।
যেখানে পাঠককে আর্টিকেলের মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে ধারণা দিবে এবং
পাঠকের আগ্রহ ধরে রাখতে সাহায্য করবে। প্রতিটি আর্টিকেলের শুরুতে একটি ভূমিকা
বাটন থাকা উচিত।ভূমিকার সাথে একটি ভূমিকা বানানো যোগ করতে হবে যেখানে অন্য কোন
রিলেটেড কনটেন্ট এর ফোকাস কিওয়ার্ড থাকে। ভূমিকা বাটনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬ শব্দের
ব্যবহার করতে হবে। ভূমিকা বাটন এর মধ্যে অবশ্যই অন্য একটি আর্টিকেলের
রিলেটেড লিংক বসাতে হবে।
আর্টিকেলে মাঝেমাঝে স্টোরি বলা খুব ভালো একটা অভ্যেস। এতে ভিজিটররা বা পাঠকরা মজা
পায় আর্টিকেল পড়ে। আপনার উপর তাদের একটা ভালো ইম্প্রেশন কাজ করে। আর্টিকেলে
সম্ভব হলে নিজের ব্যক্তিগত কোনো অভিজ্ঞতা গল্পের আকারে তুলে ধরার চেষ্টা করতে
পারেন। ভূমিকার পরে আর্টিকেলে পেজ সূচিপত্র থাকবে যা বুলেট পয়েন্ট
লিস্ট আকারে রাখতে হবে। এবং প্রত্যেকটি হেডিং এর সঙ্গে বেশ সূচিপত্রের লিংক করে
দিতে হবে।
বাংলা আর্টিকেল গুলো প্যারাগ্রাফ আকারে লিখতে হবে
বাংলা আর্টিকেল গুলো প্যারাগ্রাফ আকারে লিখতে হবে যেন পাঠকের পড়তে ও বুঝতে সহজ
হয়।প্রতিটি প্যারাগ্রাফ সর্বোচ্চ ৩.৫ লাইনের হতে হবে। প্রত্যেকটি প্যারাগ্রাফের
প্রধান পয়েন্ট তুলে ধরুন যাতে পয়েন্ট গুলো বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করতে
পারেন। এতে পাঠক ধাপে ধাপে বিষয়গুলো বুঝতে পারবে। আর্টিকেল গুলো
প্যারাগ্রাফ আকারে লিখলে পাঠক সহজেই তা আত্মস্থ করতে পারবে।
বিভিন্ন তথ্য ও পয়েন্ট গুলো সহজে পাঠকের সামনে উপস্থাপন করার জন্য নাম্বার
বা বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার করতে হবে। নাম্বার বা বুলেট পয়েন্ট করা আর্টিকেলটি
দেখতে সহজ ও আনন্দদায়ক হয়। এছাড়াও পাঠকদের আরো তথ্য পেতে আপনার ওয়েবসাইটে
অন্যান্য প্রাসঙ্গিক আর্টিকেলের লিংক সংযুক্ত করুন। এতে আপনার ওয়েবসাইটের এসইও
র্যাঙ্কিং বাড়াতে সাহায্য করবে।
এছাড়াও ইন্টার্নাল লিংক ব্যবহার করে আপনি পাঠকদের আপনার সাইটে আরও বেশ কিছু সময়
ধরে রাখতে পারবেন এবং তাদেরকে আরও তথ্য দিতে পারবেন। বর্তমান সময়ে মানুষ
টাকা ইনকামের প্রতি বেশি ঝুঁকে পড়ছে সে সম্পর্কিত আপনার ওয়েবসাইটের অন্যান্য
আর্টিকেলের লিংক দিতে পারে। সবশেষে আর্টিকেলটির লেখা জাস্টিফাই আলাইনমেন্টে রাখতে
হবে।
বাংলা আর্টিকেলে স্ক্রিনশট সুন্দরভাবে উপস্থাপন করুন
বাংলা আর্টিকেলে স্ক্রিনশট সুন্দরভাবে উপস্থাপন করাটাও একটি গুরুত্বপূর্ণ
বিষয়। আর্টিকেলে অনেক সময় গুছিয়ে টেপ রিলেটেড তথ্য উপস্থাপন
করতে হয়। সেজন্য স্ক্রিনশট সংযুক্ত করতে হতে পারে।সেক্ষেত্রে স্ক্রিনশটগুলো
সুন্দর ও আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করে আর্টিকেলে সংযুক্ত করতে হবে।
তবে সম্পূর্ণ স্ক্রিনের ছবি না দিয়ে বরং যতটুকু প্রয়োজনীয় অংশ ঠিক ততটুকুি
কেটে ছবি নিন। দরকার হলে গুরুত্বপূর্ণ অংশে ভিন্ন কালারের বর্ডার বা তীর
চিহ্ন দেখিয়ে মার্ক করে দিন। স্ক্রিনশট এর অপ্রয়োজনীয় অংশ ক্রপ করে কেটে
বাদ দিয়ে দিন।
আর্টিকেল লেখার নিয়মের মধ্যে পাঠকের বুঝার সুবিধার্থে স্ক্রিনশট ব্যবহারের
গুরুত্ব অত্যন্ত জরুরী। এবং স্ক্রিনশট গুলোর মধ্যে অবশ্যই লোগোর জলছাপ দিয়ে তা
চুরি মুক্ত রাখবো। তবে প্রয়োজন না হলে স্ক্রিনশট দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
বাংলা আর্টিকেলে ফিচার ইমেজ ব্যবহার করা
বাংলা আর্টিকেলে ফিচার ইমেজ ব্যবহার করা জরুরী এতে করে পাঠকদের বিষয়টি
ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করে। তবে অবশ্যই আর্টিকেলের সাথে ইমেজের মান ও
প্রাসঙ্গিকতা ঠিক রাখতে হবে। পাঠক ইমেজের তাৎপর্য বুঝতে পারে তার জন্য
ইমেজের সাথে প্রয়োজনীয় ক্যাপশন যোগ করুন।
আপনি কত সুন্দর ফিচার ইমেজ তৈরি করছেন তার উপর নির্ভর করে পাঠক আপনার আর্টিকেল
পড়বে। অনেকের ওয়েবসাইটে আর্টিকেলের পেজে শুধুমাত্র ফিচার ইমেজ এবং শিরোনাম
দেখায়।পরবর্তীতে সেখানে ক্লিক করলে পুরো আর্টিকেলটি দেখা যায়। মনে রাখবেন
আপনার পাঠকের কাছে প্রথমে কিন্তু ফিচার ইমেজ এবং শিরোনামটি পৌঁছাচ্ছে।
সেজন্য দৃষ্টিনন্দন ফিচার ইমেজ তৈরি করুন। ফিচার ইমেজে আর্টিকেলের সাথে
সম্পৃক্ত ছবি ব্যবহার করুন। একটি আর্টিকেলের মধ্যে ৩টি ফিচার ইমেজ ব্যবহার করার
চেষ্টা করুন। চেষ্টা করুন ফিচার ইমেজটি যেন এআই দিয়ে তৈরি করা হয়।
আর্টিকেলে ফিচার ইমেজে সঠিক সাইজ দেওয়ার চেষ্টা করুন। এছাড়াও অন পেজ
এসইও এর নিয়ম মেনে চলুন। অন পেজ এসইও ঠিক থাকলে আপনার আর্টিকেল সার্চ
ইঞ্জিনে দ্রুত র্যাঙ্ক করতে পারবে।
বাংলা আর্টিকেলে অবশ্যই কপিরাইট এড়িয়ে চলা
বাংলা আর্টিকেলে অবশ্যই কপিরাইট এড়িয়ে চলা উচিত। একটি মানসম্মত ও
আকর্ষণীয় আর্টিকেল লেখার নিয়ম হচ্ছে আর্টিকেলের মধ্যে সংযুক্ত ছবি ও লেখা যেন
কপিরাইট মুক্ত থাকে। অনেক সময় আমরা সরাসরি গুগল সার্চ করে ছবি ডাউনলোড করে
আর্টিকেলের সঙ্গে যুক্ত করে দেই। কিন্তু যাদের ছবি ডাউনলোড করেছি তারা হয়তো এই
ছবিটি সকলের ব্যবহারে জন্য উন্মুক্ত করে দেয়নি। সেক্ষেত্রে এই ধরনের ছবি ব্যবহার
থেকে বিরত থাকতে হবে।
নিজেই ছবি ডিজাইন করার চেষ্টা করুন অথবা ছবি তুলে ব্যবহার করতে পারেন। তবে সব
থেকে ভাল উপায় হচ্ছে এ আই ইমেজ ব্যবহার করা।তবে সেক্ষেত্রেও যদি আপনার কোন
সমস্যা থাকে। তাহলে গুগলের সার্চ করার পরে ক্রিয়েটিভ কমন লাইসেন্স এর আওতায়
থাকা ছবিগুলো সংগ্রহ করে ব্যবহার করতে পারেন। তবে ক্রিয়েটিভ কমন লাইসেন্স এর
আওতায় ছবিগুলো ভালো করে যাচাই বাছাই করে তারপর ব্যবহার করবেন।
কারন অনেক সময় ক্রিয়েটিভ কমন লাইসেন্স এর আওতায় থাকা ছবিগুলোর মধ্যে লোগোর
জলছাপ থাকে। যা ব্যবহারের ফলে আপনার ব্লগার ওয়েবসাইটটি ব্লক হয়ে যেতে পারে।
আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ লেখার পরে কিওয়ার্ড ডেনসিটি ঠিক আছে কিনা তা চেক করে
নিবেন। অনুসরণ করলে ওয়েবসাইট র্যাঙ্ক পাওয়ার পরিবর্তে তা পেনাল্টি খেয়ে
ডাউন হয়ে যেতে পারে। তাই আর্টিকেল লেখার সময় ব্ল্যাকহেড এসইও অনুসরণ করা
একেবারেই যাবে না।
আর্টিকেল পাবলিশ করার আগে তার সম্পূর্ণভাবে চেক করে নিন আর্টিকেলটি ইউনিক
প্লেজারিজম ফ্রি আছে কিনা। ইংরেজি আর্টিকেল চেক করার জন্য অনেক টুল থাকলেও বাংলা
আর্টিকেলের জন্য তেমন টুল নেই। আমি সাধারণত Duplichecker এবং Small SEO
tools এই ২টি টুল ব্যবহার করে থাকি। আর্টিকেলটি কপিরাইট ফ্রি আছে কিনা তা
চেক করতে এই টুল গুলো ব্যবহার করতে পারেন। আপনার আর্টিকেলটি অবশ্যই শতভাগ
প্লেজারিজম ফ্রি হতে হবে। ৯৫% এর আশেপাশে হলেও সমস্যা নেই, তবে ১০০% কপিরাইট
ফ্রি রাখার চেষ্টা করবেন।
আর্টিকেলের শেষে লেখকের মন্তব্য যুক্ত করার নিয়ম
আর্টিকেলে শেষে অবশ্যই লেখকের মন্তব্য যুক্ত করতে হবে। আর্টিকেলে শেষে ৩-৪
লাইনের একটি প্যারাগ্রাফ যুক্ত করুন। এতে আপনার ব্যক্তিগত অভিমত পাঠকের কাছে
তুলে ধরুন। পাঠকদের জন্য আর্টিকেলটির মূল পয়েন্টগুলো মনে রাখতে
সাহায্য করতে আর্টিকেলটির বিষয়বস্তুর সংক্ষেপে তুলে ধরুন।
পাঠক যেন আর্টিকেলটি সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা পায় সেজন্য লেখকের মন্তব্যে
আপনি আপনার মতামত, সুপারিশ এবং ভবিষ্যৎ অনুসন্ধানের দিকনির্দেশনা দিতে পারেন।
আপনার আর্টিকেলটি পড়ার পরে পাঠকের কেমন লেগেছে তা জানতে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট
করতে বলুন। পাঠককে পুনরায় আপনার ওয়েবসাইটে আর্টিকেল পড়ার জন্য আসতে বলুন।
যদি আপনার এই আর্টিকেলটি গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল হয় তাহলে পাঠক যেন তার
সোশ্যাল মিডিয়াতে এবং তার পরিচিত বন্ধুবান্ধবদের সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার
করে সেজন্য অনুরোধ করুন।আপনি খুব শীঘ্রই আপনার আর্টিকেলগুলোতে কি কি কি
সংযুক্ত করবেন তা পাঠককে জানান।
বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর সমূহ
আর্টিকেল লেখার সময় কিওয়ার্ড কিভাবে নির্বাচন করবো?
কিওয়ার্ড নির্বাচন করার সময় বিষয়বস্তু সম্পর্কিত প্রাসঙ্গিক ও জনপ্রিয়
শব্দগুলোর উপর খেয়াল রাখুন। এটি সার্চ ইঞ্জিনে আপনার আর্টিকেলকে খুঁজে পেতে সহজ
করে তুলবে।
আর্টিকেল লেখার জন্য ইমেজ কেন গুরুত্বপূর্ণ?
ফিচার ইমেজ আপনার আর্টিকেলটিকে আকর্ষণীয় ও মানসম্মত করে তুলতে এবং
বিষয়বস্তু বোঝাতে সহায়ক হয়। তাই ভালো মানের ও প্রাসঙ্গিক ইমেজ পাঠকের
আর্টিকেলটির প্রতি মনোযোগ ও আগ্রহ বাড়াতে সাহায্য করে।
আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ কোনটি?
আপনি যদি নতুন আর্টিকেল রাইটার হয়ে থাকেন, তাহলে এই প্রশ্নের উত্তর আপনার জানা
প্রয়োজন। আমি উপরে উল্লেখ করেছি যে, আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ
হলো টপিক ও কিওয়ার্ড রিসার্চ করা।
লেখকের মন্তব্য
আজকের আর্টিকেলটিতে সম্পূর্ণ ব্লগার ওয়েবসাইটে বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম
সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছি। এখানে চেষ্টা করেছি অল্প কথায় আর্টিকেল লেখার
নিয়ম কি তা জানাতে।এতক্ষণ ধরে সম্পূর্ণ ব্লগটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
আপনাকে। আজকের আর্টিকেলটি পড়ে কিভাবে আর্টিকেল লিখা যায় সে সম্পর্কে জানতে
পেরেছেন বলে আশা করছি। আপনার কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে তা কমেন্ট বক্সে
আমাদেরকে জানাতে পারেন।
আপনার আর্টিকেলটি যদি মানসম্মত ও আকর্ষণীয় করতে চান, তাহলে উপরের বাংলা আর্টিকেল
লেখার নিয়ম গুলো মেনে চলুন। নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে আপনি আরো ভালো আর্টিকেল
রাইটার হয়ে উঠতে পারবেন। আপনার আর্টিকেলটি পড়ে যেন পাঠকদের মধ্যে
আগ্রহের সৃষ্টি করতে এবং ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে সেই লক্ষ্যেই কাজ করুন। এতে
আপনার ওয়েবসাইট এর ট্রাফিক ও বাড়তে থাকবে।
রকমসকম ডট কম ওয়েবসাইট এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url