মেথির উপকারিতা ও অপকারিতা

মেথির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনি কি সঠিক তথ্য জানতে চান? নিশ্চয়ই ইতিমধ্যে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু নিশ্চিত হতে পারছেন না মেথির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ আপনার জন্য।

মেথির-উপকারিতা-ও-অপকারিতা
এর ইংরেজি নাম ফেনুগ্রীক যার অর্থ মেথি গাছ। মেথি একটি বর্ষজীবী গাছ। মেথির পাতা শাক হিসেবেও খাওয়া যায়। ভেষজ গাছ হিসেবে মেথি ব্যবহার করা হয় আফগানিস্তান, ইরাক, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ইরান ইত্যাদি দেশে।

পেজ সূচিপত্রঃ মেথির উপকারিতা ও অপকারিতা

মেথি দিয়ে চুল লম্বা করার উপায়

মেথি দিয়ে চুল লম্বা করার উপায় অনেকেরই জানা রয়েছে তবে আমরা অনেকেই আবার মেথির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে পুরোপুরি জানিনা। অনেক সময় চুলের বৃদ্ধি থমকে যায়। মনে হয় কেন চুল বড় হচ্ছে না? তবে এক্ষেত্রে আপনাকে জাদুকরী সমাধান দেবে মেথি। মেথির গুড়া আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। মাথায় টাক পড়ার মতো সমস্যা ঠিক করতেও ব্যবহার করা হয় মেথির গুড়া।

মেথিতে প্রচুর পরিমাণে লেসিথিন রয়েছে যা চুলের গোড়ায় পুষ্টি যোগায় এবং চুলের বৃদ্ধিতে ও চুল গজাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। ২ টেবিল চামচ মেথি গুড়ার সঙ্গে ২ টেবিল চামচ আমলকির পাউডার মেশান এর সাথে ৪ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এরপর মিশ্রণটি চুলে লাগিয়ে রাখুন।২০ মিনিট পর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ১বার এই হেয়ার প্যাক ব্যবহার করলে খুশকি দূর হবে।

এছাড়াও নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলে ১ টেবিল চামচ মেথি মিশিয়ে গরম করে নিন। মেথির বীজগুলো হালকা বাদামি না হওয়া পর্যন্ত গরম করুন।এরপর ঠান্ডা হয়ে গেলে ছেঁকে নিন। একদিন পর পর  চুলের গোড়ায় ও চুলে মেথির এই তেলটি ব্যবহার করুন। একঘন্টা পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। ১ টেবিল চামচ মেথি এবং ১ চা চামচ সরিষার দানা পাউডার নিন। ২-৩ চা চামচ কুসুম গরম পানিতে এই পাউডার ১ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। এতে ১ চা চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে মিহি পেস্ট তৈরি করুন।

এরপর ভালোভাবে মাথার ত্বকে ১৫-২০ মিনিট লাগিয়ে অপেক্ষা করুন। এরপর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। সরিষার তেলে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ রয়েছে। যা চুলের দ্রুত বৃদ্ধিতে কাজ করে এই প্যাকটি নতুন চুল গজাতে খুবই কার্যকরী এবং মেথি মাথার ত্বকে ঠান্ডা রাখতেও বিশেষভাবে উপযোগী।তবে এটি নিয়মিত ব্যবহারে চুলের রুক্ষ ভাব দূর হয়।

আরোও পড়ুনঃ

ময়শ্চারাইজার ও কন্ডিশনার হিসেবে মেথির ব্যবহার

ময়শ্চারাইজার ও কন্ডিশনার হিসেবে মেথির ব্যবহার অনেক কার্যকরী। আমাদের অনেকেরই চুল সচরাচর রুক্ষ হয় কিংবা অনেকেই বাইরে বের হলে ধুলা-বালিতে চুল রুক্ষ হয়ে যায়। চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য আপনি নানা উপায়ই মেনে চলেন। কখনো দামি দামি ক্রিম লাগিয়ে রাখেন, আবার কখনো দামি শ্যাম্পু ও কন্ডিশনারও লাগিয়েছেন। তারপরও চুলের হাল বেহাল দশা। বরং প্রতিদিনই এত এত চুল উঠে যাচ্ছে যে আপনি ভাবছেন কেন এত চুল উঠছে কি কারণে এমন হচ্ছে।

আসলে নানা কারণে চুল উঠতে পারে। দিনে ১০০ টা পর্যন্ত চুল ওঠা কিন্তু একদমই স্বাভাবিক। কিন্তু এর পরেও যদি চুল উঠতেই থাকে আর নতুন চুল না গজায় তাহলে বুঝবেন আপনার চুলের অবস্থা একেবারে নাজেহাল। এই সময় আপনার চুলের বিশেষ যত্ন প্রয়োজন। মেথি ৩ টেবিল চামচ নিয়ে তা ১ কাপ পানিতে সারারাত ভিজিয়ে সকালে সেই পানিটুকু ছেঁকে নিন। চুল শ্যাম্পু করার পর এই পানিটুকু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন।

এরূপ মেথির ব্যবহার চুলকে কন্ডিশন করে এবং চুলের ময়শ্চারাইজিং ধরে রাখতে সাহায্য করে। চুলকে করে তোলে নরম, ম্যানেজেবল, সিল্কি এবং চকচকে করে তুলতেও সাহায্য করে। এভাবেই মেথি চুলকে সমসামুক্ত রাখতে যুগের পর যুগ ধরে রেখে আসছে স্বতঃস্ফূর্ত ভূমিকা। তাই চুল থাকুক সুন্দর, মসৃণ ও নমনীয়।

চুল পড়া বন্ধ করতে মেথির উপকারিতা

চুল পড়া বন্ধ করতে মেথির উপকারিতা অপরিসীম। চলুন মেথির উপকারিতা ও অপকারিতার মধ্যে চুল পড়া বন্ধ করতে মেথির উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। সঠিক নিয়ম মেনে চুলে তেল লাগান এবং শ্যাম্পুও করেন তারপরও চুল উঠে মাথার সামনে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। দেখুন আপনার যদি গুরুতর কিছু সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। তবে সাধারণভাবে চুল উঠতে থাকলে বাড়িতেও চুলের যত্ন নিতে পারেন।

চুল পড়া বন্ধ করতে নিয়মিত কিছুদিন মেথি দিয়ে চুলের যত্ন নিলে কয়েক সপ্তাহেই ম্যাজিকের মতো ফলাফল পাবেন। মেথি এতটাই ভালো একটি প্রাকৃতিক উপাদান যে চুলের যত্নে নানা প্রোডাক্টে এই মেথির ব্যবহার করা হয়। আপনি বাড়িতেই এই হেয়ার প্যাক নিয়মিত বানিয়ে চুলের যত্ন করতে পারেন তাহলে উপকার পাবেন। মেথি ও অলিভ অয়েলে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটি আপনার চুলের জেল্লা ধরে রাখতে সাহায্য করে।

মেথি আপনার চুলের গোড়া থেকে পুষ্টি জোগাবে এবং চুলকে করে তুলবে ঘন ও মজবুত। মেথি চুলের ফলিকলকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। মেথির মধ্যে রয়েছে প্রোটিন যা চুলের স্বাস্থ্য ফেরাতে ভূমিকা রাখে এবং অলিভ অয়েল আপনার চুলকে মজবুত করতে সাহায্য করে এবং চুলকে করে ঝলমলে মসৃণ। তাই চুলের জেল্লা ফেরাতে মেথি এবং অলিভ অয়েল এর প্যাক লাগাতে ভুলবেন না।

বর্ষাকালে বাতাসে আর্দ্রতার কারণে ও পরিবেশগত কারণে স্ক্যাল্পের সমস্যা অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই স্ক্যাল্প অপরিষ্কার থাকলে ও স্ক্যাল্পে কোনো ইনফেকশন থাকলে তা থেকে চুল পড়তে পারে। এছাড়াও কোন শারীরিক সমস্যা হয়ে থাকলে চুল পড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

আরোও পড়ুনঃ

খুশকি দূর করতে মেথির ব্যবহার 

খুশকি দূর করতে মেথির ব্যবহার অত্যন্ত কার্যকরী যা আমরা অনেকেই জানি। মেথির মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান যা খুশকির সমস্যা থেকে চুলকে রক্ষা করে। মেথি মাথার ত্বক শুষ্ক ও চুলকানি বা র‍্যাশের সমস্যা হলেও তা কমিয়ে দিতে পারে। খুশকি বিরোধী শ্যাম্পু ব্যবহার করলেও কিছুদিন পরপরই ফিরে আসে খুশকি। এই সমস্যার সমাধান পেতে মেথির কিছু হেয়ার প্যাক ব্যবহার করা যেতে পারে।

খুশকি দূর হওয়ার পাশাপাশি চুলের রুক্ষ ভাব, চুল পড়া ও আগা ফেটে যাওয়ার সমস্যা কমাতেও মেথি বেশ কার্যকরী। জেনে নিন কিভাবে মেথির ব্যবহার করবেন চুলে এবং মেথির যে কোনো প্যাক তৈরির আগে মেথি সারারাত ভিজিয়ে রেখে পরদিন বেটে নিতে হয়। শীতকালে অনেকেই খুশকি সমস্যায় ভোগেন। কিন্তু এমনটা নয় যে গরমে মাথায় খুশকির সমস্যা থাকে না। চুলের শুষ্কতা, প্রতিদিনের দূষণ, ধুলোবালি, রোদ ও ঘামের কারণে খুশকি ও চুলকানির মত সমস্যা দেখা দেয়।

অনেক সময় দেখা যায় খুশকি ও চুলকানির সমস্যা এতটাই বেড়ে যায় যে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া অনেকটাই মুশকিল হয়ে পড়ে। এগুলো দীর্ঘমেয়াদি আমাদের স্ক্যাল্পের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। বাজারে একাধিক নামীদামি পণ্য পাওয়া যায়, যেগুলো খুশকির সমস্যা দূর করার দাবী জানায়। এই পণ্যগুলো অনেক ক্ষেত্রেই কার্যকর হয় না। সেক্ষেত্রে আপনি ঘরোয়া প্রতিকারের সাহায্য নিতে পারেন।

খুশকির সমস্যা দূর করতে মেথি বীজ ও লেবু দিয়ে হেয়ার মাক্স তৈরি করতে পারেন।লেবুর মধ্যে ভিটামিন সি, সাইট্রিক এসিড, পটাশিয়াম, আয়রন এবং কপার রয়েছে।লেবুর মধ্যে থাকা এসিডিটিক উপাদান খুশকির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এজন্য আপনার প্রয়োজন ১ চা চামচ মেথি বীজ ও এক চামচ লেবুর রস। মেথি বীজ সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখুন, পরের দিন এর পেস্ট তৈরি করুন এবং এতে লেবুর রস যোগ করুন।

তারপর এটি স্ক্যাল্পে ও চুলে ভালো করে প্রয়োগ করুন। ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। এরপর একটি মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এভাবে ১ সপ্তাহ ব্যবহার করলে আপনি নিজেই এর পার্থক্য লক্ষ্য করতে পারবেন।
  • প্রথমে মেথি বেটে এর সঙ্গে পরিমাণ মতো টক দই মিশিয়ে চুলে লাগান। শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুলের আগা ফাটা দূর হবে।
  • মেথির সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে রাখুন। এরপর ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এতে খুশকি দূর হয়ে যাবে।
  • নতুন চুল গজাতে এবং আরো ভালো উপকার পেতে আপনি মেথি টি সারারাত ভিজিয়ে সকালে বেটে ভেজানো পানি সহ মিক্স করে সরাসরি চুলের লাগিয়ে রাখুন এবং শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এতে যদি আপনার মাথায় উকুন থেকে থাকে সেটাও উধাও হয়ে যাবে।
  • মেথি বাটার সাথে নারকেল তেল মিশিয়ে চুলে লাগান। কিছুক্ষণ পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এতে চুল হবে নরম ও ঝলমলে।

নিয়মিত মেথি খাওয়ার উপকারিতা

নিয়মিত মেথি খাওয়ার উপকারিতা অনেকেরই জানা রয়েছে। আবার পুরোপুরিভাবে আমরা অনেকেই জানিনা যে মেথিতে কি কি গুনাগুন রয়েছে এবং এটি খেলে কি কি উপকার হয় সেসব সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা কম। মেথি বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। মেথি ব্যবহার করা হয় রান্নার কাজে, খাবারের সুগন্ধ ও বাড়াতে মেথির ব্যবহার বেশ পুরনো। মেথির উপকারিতা অনেক রয়েছে। আপনি যদি নিয়মিত মেথি খেতে পারেন তবে দূরে থাকা যাবে শারীরিক অনেক সমস্যা থেকে।
নিয়মিত-মেথি-খাওয়ার-উপকারিতা
মেথি খেলে চেহারায় বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না সহজে। তবে যে কোন প্রকারে খেলে হবে না। এটি খাওয়ার আগে জানতে হবে এর সঠিক নিয়ম নয়তো উপকারিতা নাও মিলতে পারে। ১ গ্লাস খাবার পানি নিন, এবার তাতে ১ চা চামচ মেথি ভিজিয়ে রাখুন সারারাত। সকালে ঘুম থেকে উঠে তা খালি পেটে পানিটুকু পান করুন। আবার সকালে খালি পেটে শুধু মেথিও চিবিয়ে খাওয়া যায়, তাতেও মিলবে অনেক উপকার।

তাহলে মেথি ভেজানো পানির সঙ্গে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন। পাশাপাশি রুটি পরোটা ঝোল তরকারি, সালাত ও মাছে ব্যবহারে করতে পারেন মেথি। এতে উপকৃত হবেন। চলুন তাহলে নিয়মিত মেথি খাওয়ার উপকারিতা ও সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে

আমাদের অনেকেরই কোলেস্টেরলের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। আমরা সাধারণত ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমে এটা নিয়ন্ত্রণ করে থাকি। যদি আমরা কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করি তাহলে এর থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে খুব সহজে। মেথিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এটির ফলে শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল অতি সহজে কমানো যায়। তাই প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মেথি খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়।

কৃমি দূর করে

ছোট বড় সকলেরই কৃমি হয়। সাধারণত বিশেষজ্ঞরা তিন মাস পরপর কৃমির ওষুধ খাওয়ার উপদেশ দিয়ে থাকেন। কিন্তু আমরা মানি তা কয়জন? সেক্ষেত্রে আমরা কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করে খুব সহজে কৃমির হাত থেকে মুক্তি পেতে পারি। এই সমস্যা সমাধানের জন্য মেথি একমাত্র উপায় হতে পারে। আপনি নিয়মিত মেথি যদি খেতে পারেন তাহলে আপনার পেটে কৃমি সব দূর হয়ে যাবে। তবে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে মেথি খাওয়ানোর আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিবেন।

পেটের সমস্যা দূর করে

আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যাভাসের কারণে বর্তমানে প্রত্যেকে আমরা পেটের সমস্যায় ভুগে থাকি বিশেষ করে গ্যাস জনিত সমস্যায় বেশি ভুগী। এইসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মেনে চলতে হয় নানা উপায়।
খেয়াল রাখতে হবে আমাদেরকে অবশ্যই খাবারের দিকে। তবে আমরা এতটাই ভোজন প্রিয় যে খাবার খাওয়ার সময় আমাদের কোন কিছুর খেয়াল থাকে না। নিয়মিত মেধিক খেলে সেক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস্ট্রিক সহ আরো অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

আরোও পড়ুনঃ

ত্বকের দাগ দূর করে

বয়সন্ধিকালের পর থেকেই ছেলে বা মেয়ে উভয়েরই মুখে নানা রকম ব্রণ ও ব্রনের দাগ দেখা দেয়। আর এসব দাগও সহজে যেতে চায় না। সেক্ষেত্রে আমরা বাজারের নামিদামি ক্রিম ব্যবহার করে ত্বকের বারোটা বাজিয়ে দেই। এছাড়াও শুধুমাত্র যে বয়সন্ধিকালেই এসব ঘটে এমনটা নয় বরং বড়দেরও কিছু মুখে দাগ হয়ে থাকে। যেমন- মেছতার দাগ, সানবার্ন, বিভিন্ন দাগ-ছোপ থাকে, এগুলো দূর করতে নানা রকমের প্রোডাক্ট ব্যবহার করা হয় যা ত্বকের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

সেক্ষেত্রে ঘরোয়া ভাবে মেথির ব্যবহার পারে ভালো একটা মাধ্যম। নিয়মিত মেথি খেলে দেহের ভিতর থেকে ত্বককে করবে উজ্জ্বল এবং ত্বকের দাগ ছোপ দূর করতে সাহায্য করবে।

ওজন কমাতে সাহায্য করে

বাড়তি ওজন অতিরিক্ত চর্বি নিয়ে অনেকেই বিপদে আছেন। তাদের ক্ষেত্রে মেথি অত্যন্ত উপকারী হতে পারে। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, নিয়মিত মেথি খেলে ওজন কমায় এবং অতিরিক্ত চর্বি কমিয়ে দিতে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

খালি পেটে মেথি খাওয়ার উপকারিতা

খালি পেটে মেথি খাওয়ার উপকারিতা বিস্ময়কর যা জানলে আপনিও অবাক হবেন। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক খালি পেটে মেথি খেলে কি হয়। এর স্বাদ অনেকটাই তিতা। রক্তে চিনির পরিমাণ কমানোর বিস্ময়কর শক্তি রয়েছে মেথিতে। রাতে মেথি পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে মেথির পানি প্রতিদিন পান করলে ্দেহের বিভিন্ন রোগ-জীবাণু মারা যায়। এর গুণাগুণ এতো বেশি যে একে সুপারফুড বলে যেতে পারে।

মেডিতে রয়েছে কিছু প্রাকৃতিক তন্ত্র যা শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে বেশ কার্যকরী। দিনে ২-৩ বার মেথি চিবিয়ে খেলে ক্ষুদা কম লাগে। ফলে ওজন কমে। মেথিতে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। মেথি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এবং ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। মেঝে থাকা অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি গুণ গাঁটে ব্যথা ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও মেথির মধ্যে ডায়াসজেনির নামক উপাদান রয়েছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধে বেশ কার্যকরী।

মেথির বীজ ও পাতা দুটি পুষ্টিকর এবং চিকিৎসার গুনে বহুল জনপ্রিয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে মেথি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে যা ডায়বেটিস রোগীদের জন্য বেশ কার্যকর। তবে মেথি তিতা স্বাদ হওয়ার কারণে অনেকে এটি অপছন্দ করে থাকে। এক চামচ মেথির সঙ্গে লেবু মধু মিশিয়ে খেলে জ্বর সেরে যায়। মিউকিল্যাগ নামের একটি উপাদান মেথিতে আছে যা গলাব্যথা সারাতে সাহায্য করে।খালি পেটে মেথি খেলে রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া দূর হতে সাহায্য করে।

গ্যাস্ট্রিকের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম

গ্যাস্ট্রিকের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম তেমন কিছু না থাকলেও কিছু নিয়ম আছে সেগুলো সম্পর্কে জেনে নিই চলুন। মেথির উপকারিতা ও অপকারিতার মধ্যে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে মেথি অত্যন্ত কার্যকরী। প্রতিদিন মেথি ১ চামচ পরিমাণ নিয়ে ১ গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রেখে ১০ মিনিট পর সেই পানি পান করলে গ্যাস্টিকের সমস্যা অনেকটাই কমে যায়

যেহেতু মেথি্র স্বাদ তিতা তাই এ ৭ বাড়াতে আপনি এখানে মধু এবং লেবুর রস যুক্ত করতে পারেন।আপনি যদি মেথি টানা ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত দিনে ২ বার এর পানি পান করতে পারেন তাহলে এটা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমিয়ে দিতে সাহায্য করবে। মেথি যেহেতু আয়ুর্বেদিক এক ঔষধ। তাই প্রতি সকালে এবং রাতে  ১ বার মেথির পানি খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনেকটাই দূর হয়ে যায়। 

আরোও পড়ুনঃ

সাধারণ জিজ্ঞাসা

প্রশ্নঃ মেথি কিভাবে খেলে গ্যাস কমে?
মেথিতে যেহেতু এন্টি-ইনফ্লামেটরি এবং এন্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। তাই এটি পেটের আস্তরণের ক্ষত নিরাময় করতে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। গ্যাস্টিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন সকালে বা রাতে মেথির পানি খালি পেটে পান করুন।

প্রশ্নঃ মেথি ভিজিয়ে খেলে কি হয়?
মেথি ভিজিয়ে খেলে হজম শক্তির বৃদ্ধি হয়। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, ওজন কমাতে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। মাসিক চক্রের সমস্যা সমাধান করতে, যেকোনো প্রদাহ কমাতে, রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধি করতে, চুলের এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে মেথি বেশ কার্যকরী।

প্রশ্নঃ মেথি কতটুকু খেতে হবে?
মেথি চায়ের সাথেও খেতে পারেন। এর সাথে খাওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে মেথির ১ চা চামচ বীজ ১ কাপ গরম পানিতে ভিজিয়ে ১০ মিনিট রেখে ছেঁকে নিয়ে প্রতিদিন দুইবার পান করতে পারেন কিংবা একদম রাতে ঘুমানোর আগে পান করুন। স্বাদ বাড়াতে পরিমাণ মতো স্যুপ, সালাদ বা অন্যান্য খাবারের সঙ্গে যোগ করতে পারেন।

প্রশ্নঃ প্রতিদিন কতটুকু মেথি বীজ খাওয়া উচিত?
মেথি দিনে ১-২ চামচের বেশি খাওয়া উচিত নয়। বেশি পরিমাণে মেথি খেলে নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।

প্রশ্নঃ মেথি ঠিক কত দিন খেলে সুগার কমে?
২ ধরনের ডায়াবেটিস রোগীদের খাবারে ১৫ গ্রাম মেথির গুড়া ও বীজ সংযুক্ত করলে রক্তে গ্লুকোজ এর পরিমাণ কমিয়ে দেয়। দিনে দুইবার করে ৩ মাস ধরে ২.৫ গ্রাম মেথি খেলে সুগার কমে যাওয়া পরিলক্ষিত হয়।

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বর্তমান যুগের একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে উঠেছে। পেটের অস্বস্তি ও বদ হজমের কারণে আমাদের জীবনে বড় একটি প্রভাব পড়ছে। গ্যাস্ট্রিকের নানা সমস্যা মোকাবেলায় আমরা ঘরোয়া কিছু উপায় অনুসন্ধান করে থাকি এতে মেথি অন্যতম উপায় হতে পারে। মেথি তেল হিসেবেও খাওয়া যায় এটি রান্নায় ব্যবহার অথবা সোজাসুজি খাওয়া জন্য উপযুক্ত মেথির তেল নিয়মিত খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হয়ে যায়।

মেয়েদের জন্য মেথি খাওয়ার উপকারিতা

মেয়েদের জন্য মেথি খাওয়ার উপকারিতা একটি আশীর্বাদ স্বরূপ হিসেবে ধরা হয়। মেথির উপকারিতা ও অপকারিতার গুলোর মধ্যে মেয়েদের জন্য মেথির উপকারিতা বেশ কার্যকরী। মেথিতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং মিনারেল যা মেনোপজ, পিরিয়ডের ব্যথা, ওজন কমাতে এবং আরোও বিভিন্ন রোগ নিরেময়ে সাহায্য করে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক মেয়েদের জন্য মেথি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
মেয়েদের-জন্য-মেথি-খাওয়ার-উপকারিতা
মেনোপজের সময় অনেক মেয়েদেরই প্রায় ব্যথার সম্মুখীন হন। শুধু তাই নয় অনেক সময় নারীকে ব্যথা এবং অস্থিরতার মতো সমস্যার মধ্যেও পড়তে হয়।মেথিতে থাকা আন্টি-ইনফ্লামেটরি শরীরের ব্যথা ও ফোলা ভাব থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। এছাড়াও পিরিয়ডের সময় নারীদের নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। যেমন তাদের পেটে ব্যথা, জ্বালাপোড়া ও ক্রাম্পের কারণে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মেথি গুঁড়া খেলে উপকার মিলবে।

অধিকাংশ মেয়েরাই তাদের ওজন বৃদ্ধির কারণে চিন্তিত হয়ে পড়েন। এ সময় অনেক পরিশ্রম করেও কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া সম্ভব হয় না। তাই বাড়তি ওজন কমাতে যা হলে মেথি ভেজানো পানি খেতে পারেন। এটা প্রতিদিন খেলে দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করবে। আজকাল খাদ্য ভেজালের কারণে এবং পরিবেশ দূষণের ফলে মেয়েদের ত্বকে নানা রকম সমস্যা দেখা দিচ্ছে। যেমন- ব্রণ, দাগ সহ মুখ-মন্ডলের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মেথি ভেজানো পানি বেশ কার্যকরী।

আরোও পড়ুনঃ

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে মেথির ব্যবহার

মেথিকে আমরা সাধারণত মসলা হিসেবেই চিনে থাকি। শুধুমাত্র মেথি যে মসলা বা চুলের জন্য উপকারি তা নয় মেথি কিন্তু ত্বকের জন্যও সমানভাবে কার্যকরী ত্বককে গভীর থেকে পরিষ্কার করতে দারুন ভাবে কাজ করে। মেথি ৩-৪ ঘন্টা ভিজিয়ে ব্লেন্ডারের সাহায্যে পেস্ট করে নিন। এরপর সাথে পরিমাণ মতো কাঁচা দুধ মিশিয়ে মুখে ও গলায় ভালোভাবে লাগিয়ে রাখুন তবে চোখের এরিয়া বাদ দিয়ে তারপর মেথি মুখে লাগিয়ে রাখুন।

১৫-২০ মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২-৩বার এটি ব্যবহার করলে কিছুদিন পরে আপনি নিজেই এর পরিবর্তনটা বুঝতে পারবেন। এরপর মেথির সঙ্গে টক দই মিশিয়ে তারপর মুখে ও গলায় লাগে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ভালোভাবে মুখ ধুয়ে ময়শ্চারাইজার ক্রিম লাগিয়ে নিন। এতে দ্রুত ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করে। মেথি ও মধু ব্যবহারে ত্বকের মরা চামড়া দূর করতে সাহায্য করে।

মেথি পেস্ট করে এর সাথে ১ চামচ মধু মেশিয়ে ২০-৩০ মিনিট পর্যন্ত ত্বকে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন। তারপর গরম পানি দিয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি মরা চামড়া দূর করে এবং ত্বকের বিভিন্ন এলার্জি, ব্রণ ইত্যাদি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে মেঘে ও গোলাপ জলের ফেসপ্যাক দারুন ভাবে কার্য করি। মেথি বাটার সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কিছুদিন পরে এর পার্থক্য নিজেই দেখতে পারবেন।

মেথির অপকারিতা বা ক্ষতির দিক

মেথির অপকারিতা বা ক্ষতির দিক সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই তেমন ধারণা নেই। অতিরিক্ত মেথি খেলে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। মেথি রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে ফলে এটি হাইপোগ্লাইসেমিয়া এর কারণ হতে পারে। গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত মেথি খেলে জরায়ুর সংকোচন বাড়িয়ে গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে এবং কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে মেথি অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।

মেথি আমাদের দৈনন্দিন খাতা তালিকায় গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে এবং মেথির উপকারিতা ও অপকারিতা এর মধ্যে মেথির উপকারিতা সম্পর্কেই বেশ ধারণা রয়েছে আমাদের কিন্তু এর অপকারিতা সম্পর্কে তেমন একটা ধারণা নেই। অতিরিক্ত মেথি খেলে পাকস্থলীতে অস্বস্তি বা ডায়রিয়া হতে পারে।তাই মেথির উপকারিতা পেতে হলে এর সঠিক পরিমাণ ব্যবহার এবং বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করা উচিত।

অতিরিক্ত মেথি খেলে এলার্জির সৃষ্টি করতে পারে এবং ত্বকে নানা ধরনের ফুসকুড়ি বা শ্বাসকষ্ট দেখাও হতে পারে। মেথির উপকারিতা থাকলেও এর সাবধানতা অবলম্বন করে ব্যবহার করা উচিত। বিশেষ করে চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে এটি এড়িয়ে চলা উচিত। আমরা সকলেই জানি অতিরিক্ত কোন কিছুই সেবন করা উচিত নয়। যেহেতু মেথি ওজন কমাতে সাহায্য করে তাই যাদের এমনিতেই ওজন কম তাদের এটি সেবন করা থেকে বিরত থাকা উচিত।

মেথি রক্তের শর্করা দ্রুত কমিয়ে দিতে পারে। সেজন্য যারা ডায়াবেটিসের ওষুধ খাচ্ছেন বা যাদের ব্লাড প্রেসার লো তাদের জন্য মেথি খাওয়া বিপদজনক হতে পারে। ডায়াবেটিসের ওষুধ ও মেথি একসঙ্গে খেলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া দেখা দিতে পারে। এছাড়াও এলার্জির সমস্যা থাকলে মেথি ব্যবহারে সতর্ক হওয়া উচিত। যদি আপনার মেথি সেবন করতেই হয় তাহলে প্রথমে আপনি এলার্জি পরীক্ষা করে নিতে পারেন।

আরোও পড়ুনঃ

শেষ কথাঃ শরীর সুস্থ রাখতে মেথির ব্যবহার

আজকের এই আর্টিকেলটিতে মেথির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা করেছি। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে। যদি আপনার এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার পরিচিতদের সাথে কিংবা বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। আর যদি আপনাদের কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন।

প্রাচীনকাল থেকে আজ পর্যন্ত মেথির জনপ্রিয়তা একটু ফিকে হয়ে যায়নি। শরীর ঠান্ডা রাখতে মেথির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সবাই জানি মেথি নিয়মিত খেলে কিডনি পরিষ্কার থাকে। নিয়িমিত মেথি খাওয়ার ফলে ইউরিন ক্লিয়ার থাকে বলে কিডনিতে স্টোন হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। ডায়েট বিশেষজ্ঞদের মতে যদি অঙ্কুরিত মেয়েটি খাওয়া যায় তাহলে একাধিক সমস্যা সমাধান দেয়া হয়ে যেতে পারে তাছাড়া অঙ্কুরোদগম মেথির সেই পরিমাণ তিক্ততাও থাকে না।

মেথিতে রয়েছে বহুল পরিমাণে পুষ্টি উপাদান। যেমন- এতে রয়েছে ভিটামিন কে, থায়ামিন, রাইবোফ্লাভিন, ফলিক এসিড, ভিটামিন এ, নিয়াসিন, ভিটামিন বি৬, পটাশিয়াম, কপার, আয়রন, ক্যালসিয়াম, সেলুনিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদি। প্রতি ১০০ গ্রাম মেথিতে রয়েছে ৩২৩ কিলোক্যালরি পুষ্টি উপাদান। তবে হ্যাঁ, আজকের আর্টিকেলটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য তবে এটি নিয়মিত বা দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার করতে হলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে তারপর ব্যবহার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রকমসকম ডট কম ওয়েবসাইট এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url