নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

 আপনি কি নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে চান? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আশা করি এখান থেকে আপনি সঠিক তথ্যটি পেয়ে উপকৃত হবেন।

নিম-পাতার-উপকারিতা-ও-অপকারিতা
নিম আমাদের অতি পরিচিত একটি ঔষুধি গুণাগুণ সমৃদ্ধ গাছ।আসলে নিম গাছের উপকারিতা বলে শেষ করা যাবেনা। এর শেকড় থেকে শুরু করে এর ছাল,পাতা,ডাল,ফুল,ফলসহ সবকিছুই অত্যন্ত উপকারি। চলুন তাহলে নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

পেজ সূচিপত্রঃ নিম পাতার উপকারিতা

এলার্জি ত্বকের জন্য নিম পাতার উপকারিতা

এলার্জি ত্বকের জন্য নিম পাতার উপকারিতা বহু রয়েছে, চলুন জেনে নেওয়া যাক। এলার্জির সঙ্গে আমরা কম বেশি সবাই পরিচিত। এলার্জির কারণে যখন তখন অস্বস্তিতে ভোগেন অনেকেই। এলার্জি শুধু চুলকানি নয় হাঁচি-কাশি কিংবা হাঁপানিও এলার্জির মধ্যে পড়ে। এর সমস্যা যে কতটা ভয়ঙ্কর তা শুধু ভুক্তভোগীরাই জানেন।

এলার্জি সমস্যা দূর করতে নিম পাতা দিয়ে পানি ফুটিয়ে প্রতিদিন গোসল করলে এলার্জির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়া যাদের মুখে এলার্জি রয়েছে তারা সাধারণত মুখে কিছুই ব্যবহার করতে পারেন না, অনেক সেন্সিটিভ হয়ে যায় তাদের জন্য এই নিম পাতার উপকারী অত্যন্ত জরুরী।

শুধুমাত্র নিম পাতা পরিস্কার করে বেটে পুরো মুখে লাগান এবং শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কয়েকদিন ব্যবহার করলে দেখবেন মুখের ব্রণ, বিভিন্ন র‍্যাশ,এলার্জি দূর হয়ে গেছে।

চর্মরোগ দূর করতে নিম পাতার উপকারিতা

চর্মরোগ দূর করতে নিম পাতার উপকারিতা অপারেশন। চর্মরোগ এক ধরনের মারাত্মক রোগ। বলা হয়ে থাকে যে, বর্ষায় চর্মরক খুব হয়। বর্ষায় আদ্রতার কারণে চর্মরোগ সহজেই ছড়ায় বা হতে পারে। এ ধরনের ত্বকে নিম পাতা ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকের সংক্রমণের সর্বোত্তম চিকিৎসা হলো নিমের পেস্ট প্রয়োগ করা।

নিম পাতা চর্ম রোগের জন্য অব্যার্থ মহৌষধ। নিম পাতা চিকেন পক্স, দাদ, ব্রণ, চুলকানি, ফোঁড়া, কুষ্ঠরোগ, ত্বকের আলসার সহ বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ সমস্যায় নিম পাতা বেশ উপকারী। নিম পাতা বেটে ক্ষত স্থানে লাগিয়ে রাখুন এতে উপশম পাবেন। এভাবে বেশ কিছুদিন ব্যবহার করলে এসব রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। 

এছাড়াও ত্বক লাল হয়ে যাওয়া, শুষ্ক ত্বকের জন্য, গরম ত্বককে ঠান্ডা হতে নিমের তেল অত্যন্ত কার্যকরী। নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমরা সবাই জানলেও তা মানতে কেউই চাই না। কারণ এটা ভীষণ তিতা। তবে ফেইস মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করার জন্য নিম পাতা রোদে শুকিয়ে কাঁচের বয়ামে সংরক্ষণ করে রেখে দিতে পারেন। তবে নিম পাতা বেশিদিন সংরক্ষণ করে রাখা যায় না, নষ্ট হয়ে যায়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নিম পাতার উপকারিতা

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নিম পাতার উপকারিতা অপরিসীম। নিম পাতায় রয়েছে অনেক গুণ। বিশেষ করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এটি। নিম পাতায় থাকা অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী রাখতে সহায়তা করে।

এর সাথে নিমপাতা দেহের অভ্যন্তরে উপস্থিত অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াকেও মেরে ফেলে। নিম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের সবারই জানা। নিমের বীজ ও নিম পাতায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান রয়েছে।

এক কাপ নিম পাতায় ক্যালোরি থাকে ৩৫ গ্রাম। নিম পাতার রস চিনি বা চিনির মিছরির সঙ্গে খেলে কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। চাইলে প্রতিদিন একটি করে নিম ক্যাপসুলও খেতে পারেন। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি নিমপাতা অনেক রোগ নিরাময়েরও ক্ষমতা রাখে। প্রতিদিন এক গ্লাস পানির সাথে ১ চামুচ নিম পাতার গুড়ো মিশিয়ে পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। 

মাড়ির সমস্যা দূর করতে নিম পাতার উপকারিতা

মাড়ির সমস্যা দূর করতে নিম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে এখন জানবো আমরা। নিমের পাতা ও ছালের গুড়া কিংবা নিমের ডাল ঔষধি গুনে ভরপুর। প্রতিদিন নিয়ম করে নিমপাতা ও ছালের গুড়া কিংবা নিমের ডাল দিয়ে নিয়মিত দাঁত মাজলে দাঁত মজবুত হয়। দাঁতের রোগ ও সারে। নিউট্রিশনিস্টের মতে, নিমের ডাল দিয়ে দাঁত ব্রাশ করলে নিমের তেল বের হয়।

নিম পাতা মুখের জন্য অনেক উপকারি বলেই প্রাচীনকাল থেকেই নিমের ডাল দিয়ে মেসওয়াক করার প্রচলন রয়েছে। নিমের নির্যাসে অত্যন্ত শক্তিশালী বীজবারক যৌগিক থাকে যা ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে সহায়তা করে। নিমের ডাল দিয়ে নিয়মিত দাঁত মাজলে দাঁত ও মাড়ি মজবুত এবং সুস্থ থাকে। এতে মুখের দুর্গন্ধও দূর হয়ে যায়।

নিমের শক্তিশালী অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল নির্যাস টুথপেস্ট,মাউথওয়াস তৈরিতে একটি জরুরি উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।যার শক্তিশালী অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ফলে মুখের মধ্যে যে জীবাণু জন্মায় তা মূল থেকে নির্মূল হয়। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, নিমের ডাল দিয়ে ব্রাশ করলে মুখে প্লাক তৈরি হয় না। যার ফলে মুখ বন্ধ হয় না। 

চোখের চুলকানি দূর করতে নিম পাতার উপকারিতা

চোখের চুলকানি দূর করতে নিম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে আসি চলুন। আমাদের সকলের মনে একটা প্রশ্ন থাকে যে নিমপাতা কি চোখের চুলকানি দূর করতে সাহায্য করে? এটির উত্তর হবে হ্যাঁ।নিম পাতা চোখের রোগের জন্য সহায়ক। 

নিম পাতায় এমন যৌগ রয়েছে যা প্রদাহ বিরোধী এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা চোখের রোগের উপসর্গ। যেমন, কনজাংটিভাইটিস এবং ড্রাই আই সিনড্রোম কমাতে সাহায্য করতে পারে। দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে নিম পাতা চিবানো উপকারী বলে প্রমাণিত। এছাড়াও ফুটানো নিম জল দিয়ে আপনার চোখ ধোয়া চোখের জ্বালা, ক্লান্তি বা লালভাব নিরাময়ে সহায়ক।

নিম পাতায় রয়েছে নানা ভালো গুণ। চোখ চুলকালে বা চোখের লালচে ভাব দূর করতে নিম পাতা প্রথমে পরিস্কার করে পানিতে দিয়ে ফুটিয়ে নিবেন ৮/১০ মিনিট। এরপর পানি ঠান্ডা করে ছেঁকে নিয়ে সেই পানি দিয়ে চোখে ঝাপটা দিন। এভাবে দিনে ১-২ বার ব্যবহার করলে উপশম হবে।

কৃমিনাশক হিসেবে নিম পাতার উপকারিতা

কৃমিনাশক হিসেবে নিম পাতার উপকারিতা যে কতটুকু তা আমরা সবাই জানি। আদিকাল থেকে বিভিন্ন অসুখ সারাতে প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার হয়ে আসছে। সেই উপাদান গুলোর মধ্যে রয়েছে কিছু ঔষধি গাছও। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নিম গাছ। যা অনেক কঠিন অসুখ থেকে মুহূর্তেই মুক্তি দিতে সক্ষম।
কৃমিনাশক-হিসেবে-নিম-পাতার-উপকারিতা
নিম পাতা কৃমি দূর করতে অত্যন্ত কার্যকরী। বিশেষ করে শিশুদের পেটে কৃমি হলে পেট বড় হয়ে যায়, রোগা হয়ে যায়। এককথায় বুঝাতে গেলে শিশুদের শরীরের তুলনায় তাদের পেট আকারে অনেক বড় হয়ে যায়। চেহারা ফ্যাকাসে হয়ে যায়। নিম পাতা শিশুদের পেটের কৃমি নির্মল করার জন্য খুবই উপকারী।

প্রতিটি জিনিসেরই উপকারিতা ও অপকারিতা যেমন রয়েছে। ঠিক তেমনি নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা দুটোই রয়েছে। নিম পাতার রস অতিরিক্ত ব্যবহারে ক্ষতি হতে পারে। বিশেষকরে শিশুদের ক্ষেত্রে। তাই নিম পাতা শিশুদের সেবনের পূর্বে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন।

রক্তের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ করতে নিম পাতার উপকারিতা

রক্তের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ করতে নিমপাতার উপকারিতার গুণ বহুবিধ। নিম গাছ বহু বর্ষজীবি ও চিরহরিৎ বৃক্ষ বলা হয়ে থাকে। নিমপাতা তিতা স্বাদের কারণে অনেকেই নিম পাতার রস খেতে চান না। তবে আয়ুর্বেদের মতে, প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিমপাতা রস খাওয়া অত্যন্ত উপকারী। এতে শারীরিক নানা অসুস্থতাও কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করে।

নিম পাতা রক্তের সুগার লেভেল কমাতে সাহায্য করে। নিম পাতা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চমৎকার ভাবে কাজ করে। এছাড়াও রক্ত নালীকে প্রসারিত করে রক্ত সরবরাহ করতে সাহায্য করে। ভালো ফল পেতে নিম পাতা বেটে সকালে খালি পেটে এর রস পান করুন। এছাড়াও সকালে ৫টি গোলমরিচ ও ১০টি নিম পাতা বেটে খালি পেটে খেলে এতে ডায়াবেটিস কমতে সাহায্য করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ থাকলে সব রোগী নিয়ন্ত্রণে আসে। নিম পাতা ডাল থেকে ছাড়িয়ে মিহি করে বেটে নিয়ে ছোট ছোট বড়ি করে রোদে শুকিয়ে নিতে পারেন। সেই বড়ি কাঁচের বোতলে অনেকদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে পারবেন। এতে এর গুনাগুন ভাল থাকবে।

চুলের যত্নে নিম পাতার উপকারিতা

চুলের যত্নে নিম পাতার উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমরা কম বেশি সবাই জানি। কিভাবে নিমপাতা দিয়ে চুলের যত্ন নিতে হয়। উজ্জ্বল, সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন চুল কেনা পেতে চায়? বাইরে ধুলাবালির কারণে কিংবা পানিতে আয়রন থাকার কারণে চুলের অবস্থা খুবই খারাপ বা নিষ্প্রাণ হয়ে যায়। চুলের জন্য নিম পাতার ব্যবহার বেশ কার্যকর।
চুলের-যত্নে-নিম-পাতার-উপকারিতা
নিম পাতাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ছত্রাক নাশক এবং ব্যাকটেরিয়া নাশক উপাদান। এই উপাদান গুলো খুশকির চিকিৎসার জন্য বেশ উপকারী। নিম পাতার পেস্ট তৈরি করে ভাল করে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে রাখুন, ১ ঘন্টা পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কয়েকদিন নিয়মিত ব্যবহার করলে খুশকি, উকুন, চুল পড়া এবং চুলকানির মতো বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

নিম পাতা ব্যবহারে ঝলমলে, মসৃণ ও নজরকাড়া চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারিত। সপ্তাহে ১ দিন নিমপাতা ভালো করে বেটে চুলে ১ ঘন্টা লাগিয়ে রাখুন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন চুল কম পড়ার সঙ্গে সঙ্গে চুল নরম ও কোমল হবে। নিম পাতার যথাযথ উপকারিতা পেতে শ্যাম্পু করার পর নিম পাতা ফুটানো পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন আর পেয়ে যান স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল।

চা পানে নিম পাতার উপকারিতা

চা পানে নিম পাতার উপকারিতা অনেক রয়েছে। চা পানে নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা কতটুকু চলুন সেটা জেনে নেওয়া যাক। এটি শরীরের জন্য বেশ উপকারী। নিম পাতার চা এর কথা শুনে কি কিছুটা অবাক হচ্ছেন! জী ঠিকই পড়েছেন নিম পাতার চা শরীরের জন্য এবং লিভারের জন্য বেশ উপকারী। নিমের চা তৈরির জন্য বাজার থেকে নিমপাতা গুড়া কিনতে পারেন কিংবা বাড়িতে এ পাতা শুকিয়ে গুড়ো করে রাখতে পারেন।

নিম পাতার গুড়া অথবা তাজা ৬/৭টি নিম পাতা ভাল করে পরিস্কার করে পানিতে ফুটিয়ে নিন। নিম পাতার চা তৈরি সময় এতে দারুচিনির গুড়াও যোগ করতে পারেন প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় সেই সঙ্গে ত্বক ভালো রাখে এবং ওজন কমায়।

তবে হ্যাঁ কাঁচা নিমপাতা যতো বেশি ফুটাবেন ততো বেশি তিতা হয়ে যাবে। তাই আপনি যেমন তেতা খেতে পারবেন ঠিক সেই অনুযায়ী নিম পাতা ফুটিয়ে নিন।এরপর এটি ছেঁকে নিয়ে এর সাথে মধু মিশিয়ে সেবন করতে পারেন। এটি সেবনের ফলে পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

নিম পাতার অপকারিতা বা ক্ষতির দিক

নিম পাতার অপকারিতা বা ক্ষতির দিক জেনে নেওয়া যাক। নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা এর মধ্যে এতক্ষণ আপনারা নিম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে জানলেন। এখন আমরা নিম পাতার অপকারিতা সম্পর্কে জানবো। নিম পাতার উপকারিতা অধিকাংশ হলেও এর অপকারিতা কিছু সংখ্যক রয়েছে। যেমন-
  • খালি পেটে নিম পাতা বেশিদিন খেলে ক্ষতি হতে পারে।তাই নিয়ম মেনে এটি সেবন করা ভালো এবং বেশিদিন না খাওয়ায় উচিত।
  • কারোর যদি নিম পাতা সেবনের পর বমি, মাথাব্যাথা কিংবা ডায়রিয়া হয় এটি সাথে সাথেই সেবন বন্ধ করে দিতে হবে।
  •  নিম পাতা কখনো কখনো বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে। তাই যারা সন্তান নিতে চাচ্ছেন বা ভাবছেন তারা এটি সেবন করা থেকে বিরত থাকুন।
  • গর্ভবতী নারীদের জন্য নিম পাতা সেবন থেকে পুরোপুরি বিরত থাকা উচিত। এতে গর্ভপাতের ঝুঁকির সম্ভাবনা রয়েছে।
  • নিম পাতা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে তাই নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে এমন ব্যক্তিদের নিম পাতা সেবন করা উচিত নয়।
একজন ব্যক্তি কতদিন নিম পাতা সেবন করতে পারবেন তা কেবল একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করা উচিত।

শেষ কথাঃ নিম পাতার ঔষুধি গুণাগুণ

নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আজকে আমি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে কিছু সঠিক তথ্য আপনাদের দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনারা এই তথ্যটি পড়ে কিছুটা হলেও উপকৃত হতে পেরেছেন। আপনাদের কিছু বলার থাকলে তা জানাতে নিচে কমেন্ট করুন। এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লাগে বা উপকারে আসে তাহলে আপনি আপনাদের পরিচিতদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।

নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা মধ্যে কিন্তু অপকারের চেয়ে উপকারিতায় বহুগুণ রয়েছে। নিমে এমন কিছু অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে যা কিনা পাকস্থলীতে এসিডের ক্ষরণ কয়েক গুণ কমাতে পারে। তাই যারা নিয়মিত বুক জ্বালা এবং মুখের টক ওঠার মতো সমস্যায় ভোগেন তারা নিজেদের খাদ্য তালিকায় নিমকে জায়গা করে দিন। এতেই কিন্তু উপকার মিলবে হাতেনাতে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রকমসকম ডট কম ওয়েবসাইট এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url